আজ ওর বিয়ে ।
ঘড়িতে সময় ভোর ৪-৪০ মিনিট।
আমি রাস্তার মোড়ে
দাঁড়িয়ে বিয়ে বাড়ীর
লাইট জলার অপেক্ষায়
আছি।
কিন্তু মনে হচ্ছে ও আজ দেরী
করে ঘুম থেকে উঠবে।
কলেজে যাওয়ার জন্য অবশ্য
রোজ তাড়াতাড়ি উঠতো।
তাই আজ কেন তাড়াতাড়ি
কেন উঠবে?আজ তো ওর
বিয়ে।
ও তো জানেও না যে আমি
এখানে দাঁড়িয়ে আছি।
.
কয়েক বছর আগে ও ওর বাবা
মাকে আমাদের সম্পর্কের
কথা বলেছিল।কিন্তু ওর
বাবা মা মেনে নেয়নি।
বেচারী সেদিন খুব মার
খেয়েছিল।
তারপর অনেক দিন ওর
কলেজে যাওয়া বন্ধ ছিল।
তারপর যেদিন ওর সাথে
দেখা হলো,ততোদিনে
৭টি মাস কেটে গেছে।
আমাকে দেখে ও বাচ্চা
মেয়ের মত ফুপিয়ে ফুপিয়ে
কেঁদে ছিল।কান্নার
কারণে ঠিক মত কথাও বলতে
পারেনি।
আমার কান সেদিন অনেক
কিছু শুনতে চেয়েছিল।কিন্তু
আমি ওর চোখ দেখাতেই
ব্যস্ত ছিলাম।ও মাত্র দুই-
চারটি কথা বলেছিল।কিন্তু
আমি ওর চোখ দেখেই সবকিছু
বুঝে গিয়েছিলাম।
সেদিনের পর ওর সাথে
প্রতিদিন দেখাও করতাম।
আজকের মত প্রতিদিন আমি
এভাবেই দাঁড়িয়ে
থাকতাম।কখন যে সন্ধ্যা হয়ে
যেত বুঝতেই পারতাম না।
আমি জানতাম না সামনে
আমার ভাগ্য আমাকে
কোনদিকে নিয়ে যাবে।শুধু
মনে হত আমি যদি ওকে না
পাই তবে নিশ্চিৎ মরে যাব।
তবুও নিজেকে শক্ত করার
চেষ্টা করতাম।নিজেই
নিজেকে বলতাম-কান্না
করে কোন লাভ নেই।
আমার কথা শুনে ও খুব
কাঁদতো।একদিন আমি ওকে
বললাম-চলো আমরা
পালিয়ে যাই।ও কিছু
বলেনি,চুপচাপ ছিল।
আমি ওকে পালানোর জন্য
নতুন নতুন আইডিয়া দিতাম
আমার কথা শুনে ও কখনো
হাঁসতো,কখনো আমাকে
রাগ করতো।আবার কখনো ওর
চোখ দিয়ে পানি পড়তো।
.
আমি ওকে বলতাম-
দেখবে,আমাদের এসব কথা
মনে করে একদিন আমরা খুব
হাঁসবো।কিন্তু ও আমার কথা
বিশ্বাস করতো না।.
.
আজ ঐ মেয়েটার বিয়ে।
ঘড়িতে সময় রাত ১০টা।
এখানে প্রচুর মানুষ।
সবার চোখে মুখেই আজ
আনন্দ।শুধু আমিই একেবারে
চুপচাপ।
মেয়েটিকে আমি আজ কিছু
বলতে চাই।কিন্তু কেন
জানি আজ আমার মুখ থেকে
একটা শব্দও বের হচ্ছে না।
বিয়ের মঞ্চে মেয়েটি
দাঁড়িয়ে আছে।এই এক বছরে
মেয়েটি যতটুকু
কেঁদেছে,ঠিক ততোই হাঁসি
আজ তার মুখে।
আমি সাহস করে মেয়েটির
কাছে গেলাম।তারপর
বললাম-শুভ বিবাহ।
মেয়েটি আমার দিকে
দুষ্টুমি নজরে তাকিয়ে
ইশারায় বকা দিল।
আমি বললাম-তুমি কি সত্যিই
আজ খুব খুশি?
মেয়েটি বললো- হুমম আজ
আমি অনেক খুশি।কারণ আজ
তোমার আর আমার বিয়ে
যে..

Joss
ReplyDeletethanks
Delete