M.A Al-Noman

Dhaka, bangladesh

Get Update on our recent Tips & Posts

Showing posts with label Love Story. Show all posts
Showing posts with label Love Story. Show all posts

Saturday, January 6, 2018

রং নাম্বার

 

রং নাম্বার ......................................

ছেলে:-হ্যালো.
মেয়ে:-কে আপনি?
ছেলে:-আমি Rana
মেয়ে:-কাকে ফোন দিয়েছেন?
ছেলে:-সরি আমি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছি.
মেয়ে:-ওকে,আর ফোন দিও না, লাইন "কাট". :
ছেলে পরের দিন কল দিয়ে বসল..
মেয়ে:-এই ছাগল তোকে বলেছি না ফোন দিবি না.."কাট"
ছেলে আবার কল দিল...
মেয়ে:-এই কূত্তার বাঁচ্চা ফোন দিলি কেন,"কাট" _
নাইম এভাবে একধারে ৩মাস বকা শুনল সে কখনই মেয়েটাকে কিছুই বলেনি.
ছেলে আবার কল দিল.
মেয়ে:-এই ছাগলের বাঁচ্চা তরে এত বকা দেই তার পরেও ফোন দেস কেন,আসলে তোর জন্মের ঠিক নাই তোর মা তোর মা তোকে কিভাবে জন্ম দিছে হ্যা.লাইন "কাট"
ছেলে:-এত বড় বকা শুনে দু চোখে পানি চলে আসল. তখন বলল মেডাম আমি ইচ্ছা করেই ৩মাস আপনার বকা শুনেছি শুধু আপনার কণ্ঠটা শোনার জন্য এত বড় বকা দিলেন আজও কিছু বলব না,শুধু এটুকুই বলব যে আপনার কণ্ঠটা অনেক সুন্দর. লাইন "কাটুন" _
মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে ৩মাস পর হঠাৎ মানসিক চাপে পরে গেল মেয়েটি ঠিকমত ঘুমাইনা খায়না কারো সাথে কথাও বলে না. মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ,তার কিছুই ভাল লাগে না. শুধু এটাই ভাবে ছেলেটাকে এত বড় বকা দিলাম একটু প্রতিবাদ ও করল না. ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে. মেয়ে কল দিল কিন্তু ৬মাস হয়ে গেল ফোন বন্ধ. ছেলের জন্য তার মা বাবা বিয়ে ঠিক করেছে রাত পোহালেই তার বিয়ে হঠাৎ বন্ধ সিম চালু করতেই দেখে ৫ হাযারের ও বেশি মিসকল ঐ মেয়েটার. ২মিনিট পরেই মেয়েটির কল আসল
ছেলে:-হ্যালো. _মেয়ে কাঁন্নার সুরে বলে তুমি কই ছিলা এতদিন?
ছেলে:-আমি কই ছিলাম তা জেনে আপনার কি প্রয়োজন?
মেয়ে:-আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে ভালো বেসে ফেলেছি.
ছেলে:-তুমি ৩মাস বকা দিয়ে ভালোবেসেছো আর আমি প্রথম বকা খেয়ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম. ঠিক আছে ক্ষমা করে দিব যদি তুমি অামার বিয়েতে আসো.
মেয়ে:-কি করে আসব কাল তো আমারো বিয়ে. , বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়িতে আসল ছেলেটি. বাসর রাতে যখন মেয়ের কাছে গিয়ে দেখে, মেয়ে এত কাঁন্না করছে যার কোন সীমা নাই.
মেয়ে:-ওগো স্বামী আমার একটা কথা রাখবা
ছেলে:-বলো নিশ্চয় রাখব
মেয়ে:-আমি বিয়ের আগে একটা ছেলেকে ৩মাস বকা দিয়েছি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি তোমার সাথে বাসর করব তুমি কি এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে.
ছেলে:-ও আমার জান তুমি যাকে বকা দিয়েছিলে আমিই সেই ভাগ্যবান ছেলে আমার মা বাবা যে আমার জন্য তোমাকে ঠিক করেছে তা আমি আগে জানতাম না. দুজন দুজনের গলা জরিয়ে ধরল.. এবং এই আনন্দে ওরা বাসরের কথা ভুলেই গেছে,, , আর গল্পটিও শেষ হলো..

Thursday, March 2, 2017

কেনো এতো ভালোবাসো আমায়?

 


মেয়ে : আমি কি তোমার মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি?
ছেলে : না।
মেয়ে : আমাকে কি তুমি পছন্দ করো??
ছেলে : মনে হয় না!
মেয়ে : তুমি কি আমাকে চাও?
ছেলে : না !
মেয়ে : আমি চলে গেলে তুমি
কাঁদবে?
ছেলে : না।
মেয়ে : তুমি কি আমার জন্যে
বাঁচবে??
ছেলে : না।
মেয়ে : তুমি কি আমার জন্যে
কিছুই করবে না??
ছেলে : না…
মেয়ে : আমি এবং তোমার লাইফ
এই ২টার ভিতরে কোনটা কে
বেছে নিবে???
ছেলে : আমার লাইফ…
_মেয়েটি খুব কষ্ট পেয়ে চলে গেলো,
ছেলেটির এই রকম উওর পেয়ে।
ছেলেটি তখন চিৎকার করে
বলতে শুরু করলো……

তুমি আমার মনে ডুকতে পারো নি,
কারন, তুমি আমার মনের ভিতরেই আছো।
আমি তোমাকে পছন্দ করিনা,
কারন, আমি তোমাকে ভালোবাসি…
আমি তোমাকে চাইনা, কারন,
আমার তোমাকে প্রয়োজন সবসময়।
আমি কাঁদবো না তুমি চলে গেলে,
কারন, তুমি চলে গেলে আমি মরেই যাবো।
…আমি তোমার জন্যে বাঁচবো না,
কারন, আমি তোমার জন্যে মরতে
পারি।
আমি তোমার জন্যে কিছুই করবো না,
কারন, তুমি জানো আমি সব কিছুই করি তোমার জন্যে…
…আমি আমার জীবন কে বেছে নিলাম,
কারন, তুমিই যে আমার জীবন।
মেয়েটি ছেলেটির এই কথা শুনে
দৌড়ে এসে ছেলেটিকে জড়িয়ে
ধরে, কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো…
মেয়ে : কেনো এতো ভালোবাসো
আমায়?

ছেলে : জানিনা। তবে ভালোবাসি
তাই ভালোবাসি তোমায়……!!!

Monday, February 27, 2017

মা...

 

মা...
মাকড়সার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। শত শত ক্ষুদে বাচ্চা। ক্ষুদার্থ বাচ্চাগুলোর পৃথিবীতে আসার পরই খাদ্যের দরকার হয়। কিন্তু মা মাকড়সা বাচ্চাদের ছেড়ে খাবার আনতে যেতে পারেনা এই ভয়ে যে কেউ এসে বাচ্চার কোন ক্ষতি যদি করে। নিরুপায় মা মাকড়সা শেষমেশ নিজ দেহটাকে বাচ্চাদের খাদ্য বানায়। বাচ্চারা খুটে খুটে মায়ের দেহ খেয়ে একসময় চলে যায় যার যার পথে। পেছনে পড়ে থাকে মায়ের শরীরের খোলস। 

মা...
.
জাপানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময়ের কথা। উদ্ধারকর্মীরা একটি ভেঙ্গে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশায় এসেছে। এ সময় বাড়িটির ভেতরে একটা ভেঙ্গে পড়া থামের নীচে এক মহিলার মৃতদেহ দেখতে পায় তারা। মহিলাটির পিঠের উপর সিমেন্টের থাম পড়েছে। মহিলাটি হাটু গেরে মাটিতে উবু হয়ে বসে আছেন। যেন থামের আঘাত থেকে কিছুকে আড়াল করে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন মহিলা। রেসকিউ টিম থাম কেটে মহিলার মৃতদেহ উপর করলে ভেতরে পাওয়া যায় এক বছর বয়সী এক বাচ্চা। ফুটফুটে বাচ্চা। মা সন্তান কে রক্ষার জন্য এভাবেই সন্তানকে ঢেকে উবু হয়ে রয়েছিলেন যাতে থাম ভেঙ্গে মায়ের পিঠে পড়ে। সন্তান যাতে তবুও বাঁচে।
মা...
.
ঢাকার কোন এক বৃদ্ধাশ্রমের সকালের দৃশ্য। বিদেশ ফেরত এক সন্তান তার অসুস্থ বৃদ্ধা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে এনে পাচ nহাজার টাকা ধরিয়ে দেন বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীদের তার মাকে জায়গা দেয়ার জন্য। সেদিন রাতে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধাশ্রম থেকে বৃদ্ধার ছেলেকে খবর দেয়া হয় যে তার মা মারা গেছে। ছেলে ছুটে আসে এই খবর পেয়ে। কেন মায়ের প্রতি ভালোবাসার জন্য? না। বৃদ্ধার ছেলে মায়ের লাশ ঠিকমত না দেখেই, বৃদ্ধাশ্রমের ম্যানেজার কে ঘুষ অফার করে
- আপনাকে আমি বিশ হাজার টাকা দেব। আপনি শুধু পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে বলবেন, এই মহিলাকে আপনি রাস্তার উপর মৃত পেয়েছেন। বইলেন না আমিই উনাকে কাল এখানে এনে রেখেছি সেদিন ওই কুলাঙ্গার সন্তানের কথা শুনে বৃদ্ধাশ্রমের ম্যানেজার বোবা হয়ে গিয়েছিল। মৃত মায়ের লাশের দায়িত্ব নিতে পারেনা এমন ছেলেও কি আছে? কমলাপুর রেলস্টেশনের শীতের রাতের সে ঘটনা। সেবার খুব শীত পড়েছিল। বৃদ্ধা মা ছেলেকে নিয়ে থাকে প্ল্যাটফর্মে। এত দরিদ্র যে শীতে গায়ে দেয়ার কাথা মাত্র একটা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধা। প্রতিদিনের মত ছেলে কাজ সেরে এসে মায়ের গায়ে কাথা টা টেনে দিয়ে নিজে শুল। শীতে ঠক ঠক করে কাপতেসে। সকালে সেই বৃদ্ধা কে শীতে মৃত পাওয়া গেল। বৃদ্ধার লাশ যখন পাওয়া গেল কাথাটা তখন ছেলের গায়ে ছিল। তবে কি মা...
.
মাঝে মাঝে চিন্তা করি মা শব্দটার ডেফিনেশন কি। থই হারিয়ে ফেলি। পাতালের তলায় পৌছান যাবে, দূরের গ্যালাক্সি ভ্রমন করা যাবে কিন্তু মা নামক মানুষটার ভালোবাসার কোন থই পাওয়া যাবেনা। মায়েদের ভালোবাসা পরিমাপ করার মত কোন ব্যারোমিটার এই পৃথিবীতে নেই। আমি ঈশ্বরকে দেখিনি, আমি আমার মা কে দেখেছি... আর সেই মায়ের চোখেঁর পানি আল্লাহ বরদাস্ত করবে না..... ভালো থাকুক সকল মায়েরা । এই প্রত্যাশা । 💗💗💗💗

Sunday, February 19, 2017

সব ছাড়তে পারবা আমার জন্য?

 

ছেলেটা তার শার্টের হাতা গুটাতে গুটাতে বললো,
- সব ছাড়তে পারবা আমার জন্য? বাবা, মা, ফ্যামিলি!
টলমলে চোখে মেয়েটি উত্তর দিল- সব ছাড়তে পারবো! সঅঅঅব...! আর কথ বের হচ্ছেনা, চোখ ভেসে যাচ্ছে।
ছেলেটি মেয়েটির চোখের জল মুছে দিয়ে মুচকি হেসেই বললো, কাউকেই ছাড়তে হবে না পাগলি! কিচ্ছু ছাড়তে হবেনা,বাসায় যাও। তোমার পরিবারের সাথে আমার ঠিক এক বছর পর কথা হবে। মেয়েটি চলে যাচ্ছিলো, ছেলেটি পেছন থেকে মেয়েটির ওড়না টেনে ধরলো। চোখে ব্যাথার জল এনে বললো, শুনো এ ১ বছরে তোমার সাথে অনেক কিছুই হবে..! তোমাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে! পছন্দ করবে...! বিয়ের আসরে নিয়ে যাওয়া হবে, কাজী আসবে তোমাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য। আর যাই বলোনা কেনো, 'কবুল' শব্দটা কখনোই বলবা নাহ! কেমন, কক্ষনোই না।
মেয়েটি এবার কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটির বাহু টেনে ধরলো
- এক্ষুনি চলো আমার সাথে (অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে)।
- ছেলেটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় যাবো?
আগে কাজী অফিসে তারপর মেডিকেলে। 

কাজী অফিসে গিয়ে তোমাকে 'কবুল' বলবো, তারপর মেডিকেলে গিয়ে নিজের কন্ঠনালী কেটে ফেলবো যাতে কাউকে কখনোই
'কবুল' শব্দটা বলতে না হয়। ছেলেটা তখন বাহুর সমস্ত শক্তি দিয়ে মেয়েটিকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো। পশ্চিম আকাশে বেলাশেষের লাল সূর্যটা তখন মুচকি হাসছিলো।

Saturday, February 18, 2017

আজ ওর বিয়ে ।

 



আজ ওর বিয়ে ।
ঘড়িতে সময় ভোর ৪-৪০ মিনিট।
আমি রাস্তার মোড়ে
দাঁড়িয়ে বিয়ে বাড়ীর
লাইট জলার অপেক্ষায়
আছি।
কিন্তু মনে হচ্ছে ও আজ দেরী
করে ঘুম থেকে উঠবে।
কলেজে যাওয়ার জন্য অবশ্য
রোজ তাড়াতাড়ি উঠতো।
তাই আজ কেন তাড়াতাড়ি
কেন উঠবে?আজ তো ওর
বিয়ে।
ও তো জানেও না যে আমি
এখানে দাঁড়িয়ে আছি।
.
কয়েক বছর আগে ও ওর বাবা
মাকে আমাদের সম্পর্কের
কথা বলেছিল।কিন্তু ওর
বাবা মা মেনে নেয়নি।
বেচারী সেদিন খুব মার
খেয়েছিল।
তারপর অনেক দিন ওর
কলেজে যাওয়া বন্ধ ছিল।
তারপর যেদিন ওর সাথে
দেখা হলো,ততোদিনে
৭টি মাস কেটে গেছে।
আমাকে দেখে ও বাচ্চা
মেয়ের মত ফুপিয়ে ফুপিয়ে
কেঁদে ছিল।কান্নার
কারণে ঠিক মত কথাও বলতে
পারেনি।
আমার কান সেদিন অনেক
কিছু শুনতে চেয়েছিল।কিন্তু
আমি ওর চোখ দেখাতেই
ব্যস্ত ছিলাম।ও মাত্র দুই-
চারটি কথা বলেছিল।কিন্তু
আমি ওর চোখ দেখেই সবকিছু
বুঝে গিয়েছিলাম।
সেদিনের পর ওর সাথে
প্রতিদিন দেখাও করতাম।
আজকের মত প্রতিদিন আমি
এভাবেই দাঁড়িয়ে
থাকতাম।কখন যে সন্ধ্যা হয়ে
যেত বুঝতেই পারতাম না।
আমি জানতাম না সামনে
আমার ভাগ্য আমাকে
কোনদিকে নিয়ে যাবে।শুধু
মনে হত আমি যদি ওকে না
পাই তবে নিশ্চিৎ মরে যাব।
তবুও নিজেকে শক্ত করার
চেষ্টা করতাম।নিজেই
নিজেকে বলতাম-কান্না
করে কোন লাভ নেই।
আমার কথা শুনে ও খুব
কাঁদতো।একদিন আমি ওকে
বললাম-চলো আমরা
পালিয়ে যাই।ও কিছু
বলেনি,চুপচাপ ছিল।
আমি ওকে পালানোর জন্য
নতুন নতুন আইডিয়া দিতাম
আমার কথা শুনে ও কখনো
হাঁসতো,কখনো আমাকে
রাগ করতো।আবার কখনো ওর
চোখ দিয়ে পানি পড়তো।
.
আমি ওকে বলতাম-
দেখবে,আমাদের এসব কথা
মনে করে একদিন আমরা খুব
হাঁসবো।কিন্তু ও আমার কথা
বিশ্বাস করতো না।.
.
আজ ঐ মেয়েটার বিয়ে।
ঘড়িতে সময় রাত ১০টা।
এখানে প্রচুর মানুষ।
সবার চোখে মুখেই আজ
আনন্দ।শুধু আমিই একেবারে
চুপচাপ।
মেয়েটিকে আমি আজ কিছু
বলতে চাই।কিন্তু কেন
জানি আজ আমার মুখ থেকে
একটা শব্দও বের হচ্ছে না।
বিয়ের মঞ্চে মেয়েটি
দাঁড়িয়ে আছে।এই এক বছরে
মেয়েটি যতটুকু
কেঁদেছে,ঠিক ততোই হাঁসি
আজ তার মুখে।
আমি সাহস করে মেয়েটির
কাছে গেলাম।তারপর
বললাম-শুভ বিবাহ।
মেয়েটি আমার দিকে
দুষ্টুমি নজরে তাকিয়ে
ইশারায় বকা দিল।
আমি বললাম-তুমি কি সত্যিই
আজ খুব খুশি?
মেয়েটি বললো- হুমম আজ
আমি অনেক খুশি।কারণ আজ
তোমার আর আমার বিয়ে
যে..

Thursday, February 9, 2017

না ফেরার দেশ💔।

 

নাদিম,নওমি-----------------

Image result for love sad

নাদিম: তোমার মন খারাপ কেন?
নওমি: আমি এখন বিয়ে করতে চাইনা। আমি ডাক্তারি পড়তে চাই। কিন্তু আমার পরিবারের সামর্থ নাই যে আমাকে ডাক্তারি পড়াবে।
নাদিম: আরে পাগলি চিন্তা করনা সব ঠিক হয়ে যাবে। আমিতো আছি। দেখি কি করা যায়।
(ঐ দিন রাতে টিভিতে নাদিম দেখতে পায় একজন মূমুর্ষ রোগির জন্য কিডনি লাগবে)
নাদিম: নাসিফ (ছোট ভাই) কে নিয়ে চলে যাই হসপিটালে। ১০,০০,০০০/- টাকার বিনিময়ে দিয়ে দেয় তার একটা কিডনি।
-----------------
২ সপ্তাহ পর।
-----------------
নাদিম: তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
নওমি: কি?
নাদিম: (চেক টা দিয়ে) এই নাও।
নওমি: কি এইটা?
নাদিম: তোমার ডাক্তরি পড়ার সমপূর্ন খরচ।
(নওমি টাকা পেয়ে মহাখুসি। কিনতু সে একবারের জন্য তাকে জিঙ্গাসা করেনা টাকা সে কোথায় পেলো। পরের সপ্তাহে নওমি কে ভর্তী করে দেয়।)
নাদিম: ফোন কল। কিন্তু ফোন কেটে দেয়।
(ক্লাস শেষে)
নওমি: তুমি আমাকে ফোন দিছো কেন? যান না আমি এই সময় ক্লাস করি। আমাকে ডিসট্রাব করবানা।
নাদিম: আচ্ছা ঠিক আছে বাবা ছরি। এ্ আমি কানে ধরলাম আর দিব না।
-----------------------------------------------------------------
এভাবে চলতে থাকে। ৪ বছর পর নওমি এখন ডাক্তার।
-----------------------------------------------------------------
নাদিম: তুমি দেখাও করনা, ফোন ও ধরনা কেন?
নওমি: আসলে নাদিম আমি এখন বিয়ে করতে পরবনা। আমি আমার কেরিয়ার ঠিক করতে চাই।
(নাদিমের মাথায় ভেঙ্গে পরে আকাশ)
-------------
৩ দিন পর
-------------
(নাদিম হাসপাতালে)
নাসিফ: আমার ভাইয়ের কি অবস্থা ডাক্তার।
ডাক্তার: সরি আপনার ভাই এর একটি কিডনি তো নাই অন্য কিডনিও সম্পূর্ন  নষ্ট হয়েগেছে। তাকে বাচান সম্ভব না। তার হাতে সময় খব কম।
(কান্নয় ভেঙ্গে পরে নাসিফ ও নাদিমের বাবা। )
নাদিম: নওমি, নওমি, নওমি,
------------------------------------
নাসিফ: (নওমির চেম্বারে) আপু প্লিজ েএকটি বারের জন্য ভাইয়ার সাথে দেখা করুন। 
(নাসিফ সব কিছু খুলে বলে নওমি কে। নওমি পৌছাতেই নাদিমের মৃত্যু হয়। নাদিম চলে যায় নাফেরার দেশে)😭😭😭😭💔💔💔💔
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, February 8, 2017

সোনা বউ

 

মিমি আমার হাতটা ওর মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে ...

আমার দুচোখ বেয়ে জলের ধারা গড়াচ্ছে, কিছুতেই থামাতে পারছিনা আমি। ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সাদা বিছানার চাঁদর চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে। আমার খুব ইচ্ছে করছে এখান থেকে ছুটে পালিয়ে যাবার। আমি সহ্য করতে পারছি না কিছুতেই। একেবারেই সহ্য করতে পারছিনা এই পরিস্থিতি। মিমি তাই আমার হাত ধরে আছে।

- আমাকে ছেড়ে যেওনা তুমি, প্লিজ। আমার ভয় করে।

আমার খুব ইচ্ছে করছে ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদি। ছেলে মানুষের কান্নাটা ফুরিয়ে যায় সেই ছোটবেলাতেই। এর পর ছেলেরা আর কাঁদে না, কাঁদতে পারেনা, অথবা কাঁদতে হয় না। পুরুষ মানুষ হবে পাথরের মত। শত আঘাতেও থাকবে স্থির। আমিও তো এমনই ছিলাম। আবেগ জিনিসটাকে প্রশ্রয় দেইনি কখনও। কিন্তু আজ আমার ভেতরের পাথর চাঁপা আবেগ গলে গিয়ে অগ্নিগিরির লাভার স্রোতের মত আমার চোখের কোণ পুড়িয়ে দিয়ে নেমে আসছে বিছানায়।

- দেখো, তুমি এমন করে ভেঙ্গে পড়লে চলবে? বাবুটাকে দেখবে কে বলো? আমাদের একটাই বাবু, ছোট্ট, এত্তটুকু।

গলা ধরে আসে মিমির।

আমি আর পারি না, ঝটকা দিয়ে মিমির হাত ছাড়িয়ে নেই। দরজা পর্যন্ত গিয়ে থমকে দাঁড়াই। না, বাবুকে এখানে আনা যাবে না। আমাদের বাবুটা এই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেড়ে উঠুক, এটা চাইনা আমি। ছুটে এসে মিমির হাত ধরি। ও কিভাবে যেন বুঝে যায় -

- বাবুকে এনো না কাছে। বাবু আমাকে এভাবে দেখুক আমি চাই না।

গলার স্বর নিস্তেজ হয়ে আসছে মিমির। প্রতি মুহূর্তে ও একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে।

- এই শোনো, তোমার সোনা বউটার না খুব ভয় করছে। তুমি তাকে একটা গল্প শোনাও না, প্লিজ ... ওই যে, বিয়ের রাতে আমাকে যে গল্পটা শুনিয়েছিলে, সেই পাতার গল্পটা ...

কি চমৎকার একটা দিন ছিল সেদিন। ভালবাসাবাসির শুরুতেই আমরা বুঝে গেছিলাম, একে ছাড়া আমার চলবে না কিছুতেই। তাই বিয়ের জন্য ভাবতে হয়নি একেবারেই। আমার দুই বন্ধু আর ওর দুই বান্ধবী ছিল বিয়ের সাক্ষী। কোর্টের ঝামেলা মিটিয়ে আমরা চলে গেছিলাম চাইনিজ হোটেলে। নিজেকে খুব সুখী আর পূর্ণ মানুষ বলে মনে হচ্ছিল। এক নিমিষে ছেলেমানুষি গুলো হাওয়া হয়ে গেছিলো। বিয়ের পর যখন আমি ওর হাত ধরলাম সেদিন, আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এই মানুষটাকে আমি কোন দিন কোন কষ্ট পেতে দেবো না। যতই দুঃখ আসুক, আমি নিজে ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়াবো।

সেদিন রাতে, আমাদের বাসর হয়েছিল নবীনদের ছোট্ট বাসাটায়। অনেক রাত পর্যন্ত ওরা যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে পাগল বানিয়ে ছেড়েছিল আমাদের। এরপর না না রকম দুষ্টু ইঙ্গিতপুর্ণ কথা বলে ঘর ছেড়েছিল সবাই। আমি দরজা বন্ধ করে বিছানার কাছে আসতেই মিমি বলেছিল - "একটু দাঁড়াও"। আমি বুঝিনি ও কি করতে চায়। মিমি বিছানা থেকে উঠে এসে মাথায় ঘোমটা টেনে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো আমাকে। আমি তাড়াতাড়ি ওকে দুহাতে ধরে তুলে চুমু খেলাম ওর কপালে। এরপর অনেকক্ষণ ও মিশে রইলো আমার বুকের সাথে। এক সময় আমার বুকের ভেতর থেকেই বলে উঠলো - "চলো বারান্দায় গিয়ে বসি"। আমি সায় দিলাম, কিন্তু ও নড়লো না। বললাম - "চলো যাই"। "আমার যে এখান থেকে নড়তে ইচ্ছে করছে না, হাঁটতেও ইচ্ছে করছে না, কিন্তু বারান্দায় যেতে ইচ্ছে করছে"। আমি বললাম - "তাহলে আমার পায়ের উপর উঠে এসো"। ও একটু অবাক হয়ে আমার পায়ের উপর ওর পা রাখলো। আমি ওকে জড়িয়ে ধরেই আস্তে আস্তে হেঁটে বারান্দা পর্যন্ত এলাম। সেদিন বারান্দায়, আমার কোলে মাথা দিয়ে মিমি একই ভাবে বলেছিল একটা গল্প শোনাতে।

- "এক দেশে ছিল এক দস্যি পাতা। দমকা হাওয়ায় উড়তে উড়তে সেই পাতাটা একদিন গিয়ে পড়লো বিশাল এক দিঘীর মাঝখানে। পানিতে পড়ে দস্যি পাতাটা আর উড়তে না পেরে ছটফট করতে লাগলো মুক্তি পাবার জন্য। অনেক চেষ্টার পর পাতাটা এক সময় দিঘীর পাড়ে এসে পৌছাতে পারলো। মুক্তির আনন্দে নেচে উঠতে যাবে পাতাটা, সেই সময় সে দেখতে পেল দিঘীর পাড়ে একাকী বসে একটি মেয়ে। মেয়েটার রূপ আগুন ঝরায় না, বরং তার স্নিগ্ধতা ছড়ীয়ে পড়ে পুকুরের পানিতে, পানি থেকে আকাশে। পাতাটা অবাক হয়ে দেখে, কি আশ্চর্য রকম নীরব হয়ে গেল প্রকৃতি তখন। থেমে গেল দমকা হাওয়া, দিঘীর কালো জল শান্ত হয়ে এলো। পাতাটা ভাসতে ভাসতে মেয়েটার খুব কাছে চলে এলো। মেয়েটা কেন যেন পাতাটাকে দেখে খুশী হয়ে উঠলো, বললো - "ও মা, কি সুন্দর একটা পাতা। এই পাতা, তুমি কোত্থেকে এলে এখানে?"। পাতা কিছুই বলতে পারলো না, শুধু অপলক চেয়ে রইলো মেয়েটির দিকে। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো - এই দিঘি ছেড়ে সে কোথাও যাবে না, কোন দিনও না।"

সেদিনের মতই আজও মিমির গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে মুক্তো কণা। আজও মিমি শক্ত করে ধরে আছে আমার হাতটা ওর হাতের মুঠোয়।

সেদিন আমার চোখে অশ্রু ছিলনা ... আজ আমার চোখেও অশ্রু। মিমি হারিয়ে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে। আমি কোন ভাবেই ধরে রাখতে পারছি না ওকে আমার জীবনে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করে ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছেন, বলে দিয়েছেন মিমি আর কয়েক ঘণ্টা মাত্র থাকবে আমাদের সাথে। প্রার্থনা ছাড়া আর কিছুই করবার নেই এখন।

আমি মিমির হাতটা জড়িয়ে ধরে বিছানার পাশে বসে আছি ... চারিদিক কেমন শূন্য লাগছে আমার ...

আমার সোনা বউটা একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছে আমাদের সবার কাছ থেকে ... দূরে চলে যাচ্ছে ... দূরে চলে যাচ্ছে

সেমি কোলন ( ; )

 

কলিংবেলের উপর ছোট্ট কাগজের টুকরায় লাল সাইনপেন দিয়ে ইনভার্টেড কমার ভেতরে ক্রস চিহ্ন আঁকা। শ্যাওলা রঙের তিনতলা বিল্ডিং এর ধূসর গেটটা অতিকায় আকৃতির।নোনা জলের একটা ছোট স্রোত তিতিরের কপাল বেয়ে কমলা জামাটায় গড়িয়ে পড়লো। অতিরিক্ত গরম পড়েছে। এই বাসায় বাচ্চা পড়ানোর মাঝে দুটো চমৎকার ব্যাপার রয়েছে। এক নম্বর হচ্ছে বাচ্চার টেবিলে গিয়ে বসা মাত্র এক গ্লাস ঠান্ডা পানি চলে আসে। দুই নম্বর টা একটু বেশি চমৎকার অবশ্য। মাসের শুরুতেই ভারী বাদামী খামটা পাওয়া যায়। এই বাসায় বাচ্চা পড়ানোর একটা বাজে ব্যাপার ও রয়েছে। তাদের কলিংবেল কাজ করে না। তিনতলা বাসার পুরোটা মিলিয়েই তারা থাকে। তাদের টাকা পয়সার ও কোন কমতি নেই। কিন্তু কলিংবেল ঠিক করতে তাদের এত কষ্টের কি হেতু তিতিরের মাথায় ঢুকে না।
তিতির ব্যাগ থেকে রূমাল বের করলো। আজকাল কেউ রূমাল ব্যবহার করে না। কিন্তু তিতির করে। কারণ তিতিরকে রূমালটা দিয়েছে অর্ণব। অর্ণবের কান্ড জ্ঞান মোটামুটিভাবে শূণ্যের কাছাকাছি। রূমাল দিলে ঝগড়া হয় এই আজব তথ্য শোনার পর সে তিতিরের জন্য নিজ দায়িত্বে ক্যাটক্যাটে সবুজ বর্ডার দেয়া একটা রূমাল উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছিলো। উদ্দেশ্য তিতিরের সাথে ঝগড়া করবে। তিতিরের সাথে তার কখনোই ঝগড়া হয়না। অর্ণবের ফোনে তিতিরের নাম সেভ করা ধৈর্যবতী দিয়ে। যে মেয়ে ভীষণ মেজাজ খারাপ করা কাজ কারবার ও অসীম ধৈর্য নিয়ে তার নাম ধৈর্যবতী হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তিতির রূমাল পেয়েও ঝগড়া করে নি। মাশিয়াদের ব্যাপারে জানার পরেও না। অর্ণবের সাথে পরিচয়ের পর তিতির নিজের সাথেই ওয়াদা করেছিলো। অর্ণবের উপর সে কোনদিন রাগ করবে না। অর্ণবের সাথে পরিচয় কিংবা সম্পর্কের পুরো জার্নিটা হবে সুন্দর। এলি আর কার্লের মতো। আপ মুভিটা তিতিরের খুব পছন্দের ছিলো। এলি আর কার্লের মত ছোট ছিমছাম দুজনের সংসার করার অংশটুকু কতবার তিতির টেনে টেনে দেখেছে।
পুরোনো বাড়ির গেট খোলার সময়তেই কিচকিচে আওয়াজ তুলে। বাচ্চাটার আজ পরীক্ষা নেবার কথা ছিল। ঘরে বসতেই রহিমা খালা এসি ছেড়ে দিয়ে গেলো। এই বাসায় যত্ন আত্তি বেশ। বুনকো বুনকো ঠান্ডা হাওয়া এসে ঘাড় গলায় লাগছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হীমশীতল এক গ্লাস পানি চলে আসবে। মাঝখানে কি একটা চল হলো, রাস্তায় ভ্যান গাড়ির উপর ফিল্টার বসিয়ে লেবুর শরবত বিক্রি করা। এক গ্লাস পাঁচ টাকা। তিতিরের কাজ ছিলো ক্লাস থেকে বেরিয়েই এক গ্লাস লেবু শরবত কিনে ফেলা। শরবতটা খাবার পর একদম কলিজা সহ ঠান্ডা হয়ে যায়। অর্ণবের ক্লাস না থাকলে সেও শার্টের হাতা গুটিয়ে শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে কেন যে এই নোংরা জিনিসটা তোমার এতো পছন্দ বলতে বলতে ছোট ছোট চুমুক দেয়া শুরু করতো। অর্ণবের সাথে তিতিরের ঘুরতে কি ভালো লাগতো? তিতির বেশ খানিকটা ইন্ট্রোভার্ট মেয়ে। প্রথম যেদিন অর্ণবের সাথে রিকশা জার্নি হলো, তিতিরের পেটের ভেতর একশ প্রজাপতির কাঁপন ছিলো। তিতির লজ্জাতে কথাই বলতে পারছিলো না আর অর্ণব হাত নাড়িয়ে মুখের কথাতেই রাজা উজির মেরে শেষ! রিকশা কার্জন হলের গেটে থামলে অর্ণব হুট করে তিতিরের হাত ধরে। আপনি এতো কাঁপছেন কেন? অর্ণবের কান্ডজ্ঞান একদম শূণ্যের কাছাকাছি।তা নাহলে এমন কেউ করে?
অর্ণবের ইতস্তত পাগলামি, পুরুষালি কন্ঠ, রবীন্দ্রপ্রেম কি দেখে এতো মুগ্ধ হয়েছিলো তিতির? বলা হয়ে থাকে ভালোবাসার কোন কারণ থাকে না। তিতির কেন অর্ণব কে ভালোবাসে এর কারণ আজ ও খুঁজে পায়নি। অর্ণবের মধ্যে কেয়ারিং ব্যাপারটা কম ছিল অথবা ব্যাপারটা হয়তো এমন ছিল অর্ণব কেয়ারিং শো করাটাই পছন্দ করে না। তিতিরের অনেক কথাই অর্ণব মনোযোগ দিয়ে শোনেনি কিংবা সেটা মনে রাখার তাগিদ বোধ করে না এই ব্যাপারটা প্রথম নোটিশ করার পর তিতির একটু দমে গিয়েছিলো। কলেজ লাইফে ওর বন্ধুরা দুদ্দাড় প্রেম করতো। ক্লাস শেষ হলে তাদের কারো কারো বয়ফ্রেন্ডরা ভারী ব্যাগটা নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিতো। অর্ণব কে ও এমন কখনো দেখেনি। কিন্তু যেদিন রাস্তায় ও রিকশার সাথে এই একটুর জন্য ধাক্কা খেতে নিলো, অর্ণব তাকে ঠেলে বাম পাশে পাঠিয়ে দিয়ে মুখ ভেংচে বলেছিলো রিকশা তো ভেঙ্গে ফেলবে। তিতির সেদিন একরাশ ভালো লাগা নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলো। অর্ণব আর সবার মতো নয়, অর্ণব নিজের মতো করেই তিতিরের কেয়ার করে। দুজনের যতটা কথা ছিলো তার চেয়ে বেশি ছিলো খুনসুটি। কথার মারপ্যাঁচে কুপোকাত করতে করতে হাল ছেড়ে দিলে মাঝে মাঝে তিতির মুখ টিপে হাসতো। হাল ছেড়ে দেয়ায় নয়, তিতিরকে হারিয়ে দিয়েছে তাই ভেবে অর্ণবের দিগ্বিজয়ী হাসি দেখে।
অর্ণবের দেয়া প্রথম উপহার ছিলো বই, দ্বিতীয় উপহার শাড়ী। তিতির অনেকদিন থেকে একটা ভীষণ মায়া মায়া নীল শাড়ী কিনতে চাচ্ছিলো। আজিজ পুরোটা চষে দেশালের যে শাড়ীটা ওর খুব ভালো লেগে গেলো, তা আর দামে বনেনি। অর্ণব খুঁজে খুঁজে সেই শাড়ীটাই ওর জন্য কেমন করে যেন নিয়ে এলো। তিতির বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো অর্ণবের সাথে তার পরিচয় ব্যাপারটা মিরাকল নয়। ঈশ্বরের নিশ্চয় কোন প্ল্যান আছে। ঈশ্বর সেদিন উপর থেকে মুচকি হেসেছিলেন। অবশ্যই হেসেছিলেন।
অর্ণবের সাথে কাটানো সময় গুলো কেমন উড়ে উড়ে পালাতো। বৈশাখে সবাই যখন লাল সাদা নিয়ে টানাটানিতে ব্যস্ত তিতির সেদিন নীল পড়লো। অর্ণবের কেনা নীল শাড়ি। অর্ণবের সাথে প্রথম বৈশাখ। অর্ণবকে সেদিনই তিতির প্রথম জিজ্ঞাসা করেছিলো আমার আগে তোমার জীবনে কেউ এসেছে? স্বভাবমতো অর্ণব কথাটাকেই উড়িয়ে দিয়েছিলো। ধ্যাত ওরকম কিছু হলে বলতাম না তোমাকে? তিতির তখন স্বস্তির শ্বাস ফেলে। তিতির কি একটু ট্যিপিকাল? তিতির কি একটু গেঁয়ো? অর্ণবের কারো সাথে পরিচয় থাকলে কিছু কি যেতো আসতো? তিতিরের মন উত্তর দিয়েছিলো না। তিতির অতীত নিয়ে ভাবে ঠিকই কিন্তু অতীতে বসে থাকে না। তিতিরের অর্ণবের মাঝে বন্ধুকে খুঁজতো। এমন একজন বন্ধু যাকে সব বলা যায়, যে নিজেও লুকোয় না কিছু।অর্ণব লুকিয়ে রেখেছিলো। অর্ণব কি স্বন্তপর্ণে মাশিয়াদ কে লুকিয়ে রেখেছিলো! মাশিয়াদ পৃথিবীর দশটা ভালো মেয়ের একটা মাশিয়াদ, দশটা মায়াবতীর একজন মাশিয়াদ যাকে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় তাকে অর্ণব কি যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছিলো!মাশিয়াদ অর্ণবকে তার জীবনে পেয়ে কি অসাধারণ খুশিটাই ছিলো। মাশিয়াদের জীবনে ঘটে যাওয়া শ্রেষ্ঠ ব্যাপারটাই যে ছিলো অর্ণব। I am lucky to have you in my life.একটা মেয়ে নিজেকে কতটা ভাগ্যবতী ভাবলে এমন করে বলে...
মাশিয়াদকে জানার পর তিতির সরে এসেছিলো। উঁহু ওর একটুও রাগ হয়নাই। এরকমটা যেন হতেই পারতো। অভিমান যে হয়নি তিতির তা বলবে না। কৈশোর থেকে তিতিরের বুকে একটু একটু করে জমিয়ে রাখা আবেগ একটা ভুল মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেলো এই অভিমানে তিতির কেঁদেছিলো। খুব কেঁদেছিলো। Trance act কি তিতির প্রথম বুঝলো। মস্তিষ্ক মনের আওতায় চলে গেলো পুরোপুরি। বারান্দায় বসে থাকলে নীল রঙ করা পাশের বাড়ির দেয়ালের মাঝে অর্ণবের দেয়া নীল শাড়ী দেখতে পেতো। ছায়ানটের লাল দালানের সামনে যেন সাদা পাঞ্জাবীতে অর্ণব দাঁড়িয়ে, কার্জন হলের সামনে রিকশা থেমে গেলে তিতির চমকে চমকে উঠতো। অর্ণব নিজে থেকে কখনো ফিরে আসে নি। তিতিরের দুজনার সংসারের স্বপ্নের গল্পটা একটা হাইফেন হয়ে রইলো।
হিম শীতল পানির গ্লাসটা নিয়ে এক ঢোঁকে সবটা শেষ করলো তিতির। তিতির সময় দেখলো।এখানে দেড় ঘন্টার পড়ানো শেষ করে আরেক বাসায় যেতে হবে। তিতির আজকাল বেশ ব্যস্ত থাকে।সব কিছুর পরেও জীবন তো নিজের নিয়মে চলতেই থাকে তাইনা? চলতে তো হবেই। The show must go on…

টাকার গল্প

 
{জাকারিয়া, আর কুসুম}

-------------------------------
কুসুম: Do you love me?
জাকারিয়া: Yes. I love you.💓
কুসুম: Do you Miss me?
জাকারিয়া: Yes. I miss you.💕 Do you thing I am perfect for you? If you think, Will you marry me?  
কুসুম: Hmmmm. Now you are perfect for me. But not for my family?
জাকারিয়া: OOO. Why?
কুসুম:You know. আমার পরিবার তোমার কাছে বিয়ে তখন দিবে যখন তোমার ভাল JOB, টাকা থাকবে। যা এখন তোমার নাই।
জাকারিয়া: OOOO. কুসুম টাকাই কি সব? 
কুসুম:Yes. Why not.
জাকারিয়া: আমি তোমাকে বিয়ে করে এত টাকাতো দিতে পারব না। 
কুসুম: কি?
জাকারিয়া: হুম। যা সত্য তাই বললাম।
কুসুম: ও, তা হলে আমার কিছু করার নাই। তোমার মত ভিকারি কে আমার সাথে বিয়ে দিবেনা। আর আমিও পারবনা বিয়ে বসতে তোমার মত ভিকারির সাথে।
জাকারিয়া: কি তোমার মাথা ঠিক আছে?
কুসুম: হুম। Brack UP. Stupid.
জাকারিয়া: Please! এভাবে ছেড়ে যেওনা।
কুসুম: যা দূরহ্।
------------------------------------------------------
টাকার কাছে টিকতে পারলো না জাকারিয়ার ভালবাসা।
😢😢😢😢😢😢😢😢




Tuesday, February 7, 2017

সুন্দরের দিকে বেশি তাকাতে নেই

 
অনেক্ষন ধরে ফোনের রিংটোনটা বেজে যাচ্ছে।এত সকাল সকাল ফোন দেওয়ার কোন মানে হয়না। তবে আজকে ঈদের দিন বলে অনেকেই মেসেজ দিচ্ছে তাই বলে ফোন করবে। এমনিতে সারারাত ঘুমায়নি।
নাহ আর সহ্য করা যাচ্ছে না এই বার ধরতেই হবে আর বেটারে ইচ্ছামত ঝাড়ি দেওয়া দরকার।
image
.
কিছুটা ঘুম কাতুরে আর এক চোখা হয়ে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকাতেই দেখি ঋষিতার ফোন! এই মেয়েটার মাথায় সত্যি সমস্যা আছে।ঈদের দিন বলে সারারাত কথা বলেছে আবার এত্ত সকালে ফোন দিচ্ছে কেন!! অনেক রাগ হওয়া সত্বেও এক বন্ধ অবস্থায় ফোনটা ধরলাম কারণ এই মেয়েকে উপেক্ষা করার মত সাহস সৃষ্টি কর্তা আমাকে দেয়নি। ফোনটা রিসিব করতেই অপর প্রান্ত থেকে ঋষিতার ঝাঝালো কন্ঠ ভেসে আসে_______
.
__ঐ ,এতক্ষন ঘুমাতে হয়?
.
__কই এতক্ষন ঘুমালাম? ঘুমাতে দিছো তো ভোর চারটা আর এখন হাসের মত পেক পেক কর!
.
__কিইই??? আমি হাসের মত পেক পেক করি!!
.
__না,হাসির মত।স্ত্রী লিঙ্গ।
.
__যাও তোমার সাথে আর কথা নাই,ফোন দিব না তোমারে।
.
__আচ্ছা মেসেজ দিও,আমি এখন ঘুমাই।
.
__মানে কি! তুমি আবার ঘুমাবা?
.
__হ্যা,সারারাত তো ঘুমাইতে দেওনাই।
.
__ঐ বান্দর, নামাজ পড়বা না?
.
__এই সাতটায় আবার কিসের নামাজ!?
.
__ওমা, ভুলে গেছো??!!
.
__কি?
.
__আজকে যে ঈদের দিন আপনার মনে নাই??
.
__ওহ ভুলেই গেছি। ঈদ মোবারক।
.
__কিসের ঈদ মোবারক? আগে গোসলে যাও, নামাজ পড়ে আব্বা-আম্মারে সালাম করবা তারপর ঈদ মোবারক আর হ্যা, বিকেলে রাস্তার মোড়ে দাড়াবা।
.
__বিকালে বের হতে পারবোনা,ঘুমাবো।
.
__আমি অতসব জানিনা বিকালে বের হবো আর তুমি দেখা করবা। তোমার ঘুমেরে আমি শরবত বানায় খাওয়াবো।
.
__হুম………
.
.
অতঃপর দীর্ঘক্ষন বাক যুদ্ধের পর ঘুমের ঘোরটা কাঠিয়ে বিছানায় উঠে বসলাম,এখন উঠতেই হবে আর দেরি করা যাবেনা। ঋষিতার সাথে এরকম লেগেই থাকে তবুও এই মেয়েটারে অনেক ভালবাসি, ভালবাসতে ইচ্ছে করে……………|
.
.
.
___বিকাল ৪টা বেজে ৩৫ মিনিট।শুয়ে আছি।সারাদিন অনেক দখল গেছে তার উপর রাতে ঘুম হয়নি।ঘুমের জন্য চোখটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তবুও ঘুমাতে পারবোনা ঘুমালেই ঋষিতার ঘুর্নিঝড় শুরু হয়ে যাবে।
.
আর শুয়ে থাকা যাবেনা। রেডি হয়ে চকোলেটের পেকেট টা হাতে নিয়ে বের হলাম। জীবনে অনেক নাটক,উপন্যাস ,প্রেম কাহিনী পড়েছি কোথাও দেখিনাই প্রেমিক প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করতে কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা উল্টা।সব সময় আমাকে আগে যেতে হবে আর হাতে মাস্ট চকোলেট চাই না হয় ঐদিন আর রক্ষা নাই। আল্লাহ জানে হয়তো এই মেয়েকে বিয়ের পর ভাতের বদলে চকোলেট খাওয়াতে হবে।
.
.
অনেক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি কিন্তু ম্যাডামের আসার নাম নেই। হাতে চকোলেট আর পথের দিকে চেয়ে আছি, অনেক মানুষ আসে যায় কিন্তু ঋষিতা আসে না। কিছুক্ষন পর হঠাৎ দেখি রিক্সা নিয়ে হাজির,জ্বীন নাকি! থামতেই আবার চিল্লানি____
.
__এই দাড়াও, আজকে ঈদের দিন আগে সালাম করি।
.
__মাথা ঠিক আছে?? রাস্তায় সালাম করবা!!
.
__হু,আমার ইচ্ছা
.
__মাথা পুরোটাই গেছে।
.
__ঐ বেকুব,পাঞ্জাবীর বোতাম গুলোও ঠিক মত লাগাইতে পারোনা? দুইটা লাগাইছো আর একটা কে লাগাবে শুনি??
.
__তুমি,মানে আমার বউ।
.
__হু, ঢং দেখি দিন দিন বেড়েই চলছে! শোজা হও………
.
__ ওকে ম্যাডাম।
.
__বোতাম তো আরেকটা নাইই,খেয়ে ফেলছো নাকি??
.
__ছিঃ! বোতাম খাওয়া যাই নাকি?? কোথাও পড়ে হয়তো।
.
__পড়বেই তো, বোতাম সামলাইতে পারোনা বউ সামলাবা কি করে!
.
__তুমি শিখায় দিবা।
.
__হইছে আর ঢং দেখাতে হবে না,এখন উঠো রিক্সায়।
.
.
রিক্সায় আমি আর ঋষিতা।ওর চুল গুলো বাতাসে উড়ে আমার চোখে পড়ছে।ইচ্ছে করছে তাকিয়ে থাকি কিন্তু সম্ভব না কারণ সুন্দরে বেশিক্ষন দেখতে নেই।তবে হ্যা রাগি আর অভিমানী মেয়েরা অনেক মায়াবী হয়। এরা মানুষকে ভালবাসতে জানে,ভালবাসাতে জানে।এদের কাছে সব কিছু হেরে যায়।এরা বাধ্য করে ভালবাসতে।

হ্যাপি নিউ ইয়ার

 
আজ একটা কবিতা শেয়ার করবো,
ফালতু কবিতা, শুধুমাত্র মজা করার জন্য।
happy new year bengali funny poem - valobasa.in
মধ্য রাতে ওত পেতে রই
ফসকে গেলেই কেলো
ঠিক বারোটাই চিল চিৎকার
নতূন বছর এলো.....

দুমদুমিয়ে পটকা ফাটে
পর্দা কাঁপে কানে
নরম কোনো শব্দ তো নেই
খুশির অভিধানে.....

মেদ জমেছে মধ্যদেশে
নাচতে হবেই তবু
তাল কেটে তা বেতাল হলে
দোষ নিয়ো না প্রভু.....

কেক কেটেছি সবাই মিলে
মেখেছি সব মুখে
ও সব তো খায় হাভাতেরা
অথবা উজবুকে.....

আমরা বাবা সাহেবসুবো
রোদ্দুরেতে কালো
ইংরিজিতে ভুল ধরলে পরে
ধুসস বয়েই গেলো.....

 দুর্গাপূজাও হ্যাপ্পী এখন
এটাই যুগের কেতা
পয়লা বোশেখ নতূন বছর
নিছক আদিখ্যেতা.....

উৎসব তো ক্ষণিক থাকে
এনজয় মাই ডিয়ার
এসো সবাই তুমুল চেঁচাই
হ্যাপ্পী নিউ ইয়া..................র।

ভালোবাসার গল্প , পাশে থাকার গল্প

 

একবার একটা লঞ্চ দূর্ঘটনায় পড়লো।
লঞ্চের এক দম্পত্তি একটা লাইফবোট পেল।
কিন্তু স্বামীটা বুঝে ফেললো সেখানে একজনের বেশি উঠতে পারবে না।
লোকটা তার স্ত্রীকে আটকে রেখে নিজে লাফ দিয়ে বোটে লাফিয়ে উঠে পড়লো।
ডুবন্ত লঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে মহিলা স্বামীর উদ্দেশ্যে একটাই মাত্র বাক্য চিৎকার করে বলেছিলো।
শিক্ষক এটুকু বলে থামলেন,
চারদিকে তাকিয়ে ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে চাইলেন, 
“তোমাদের কি মনে হয়? 
কি বলেছিলো মহিলা!?”-
“তুমি একটা ইতর, আমি কি অন্ধই না ছিলাম!” 
অধিকাংশ  ছাত্রই এ ধরনের জবাব দিলো।
শিক্ষক খেয়াল করলেন একটা ছেলে পুরোটা সময় ধরেই চুপ, 
তার মতামত জানতে চাইলে সে বললো,
“স্যার, আমার বিশ্বাস, মহিলাটি বলেছিল, আমাদের বাচ্চাটার যত্ন নিও, ওকে দেখে রেখ।”
বিস্মিত হয়ে শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, 
“তুমি এই গল্প আগে শুনেছ, তাই না!”
ছেলেটি মাথা নেড়ে জবাব দিলো, “ আমার মা-ও অসুখে মারা যাওয়ার পূর্বমূহূর্তে বাবাকে একথাই বলেছিলো।”
শিক্ষক একমত হলেন, তুমিই ঠিক।
লঞ্চটা ডুবে গেলো এবং বাড়ি ফিরে লোকটা একাকী মেয়েকে যত্ন করে বড় করলো।
লোকটি মারা যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পরে তাদের কন্যা বাবার একটি ডায়েরী পেল।
সেখানে সে আবিষ্কার করলো, 
লঞ্চযাত্রায় যাওয়ার আগেই মায়ের দুরারোগ্য অসুখ ধরা পড়েছিলো, 
চরম মূহূর্তে তার বাবা তাই বাঁচার একমাত্র উপায়ের সদ্ব্যবহার করেছে।
ডায়েরীতে তার বাবা লিখেছে, 
“আমারও তোমার সাথে সাগরের তলে ডুবে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, 
কিন্তু শুধু মেয়ের কথা ভেবে তোমাকে একাই সাগর তলে চিরদিনের জন্য ছেড়ে আসতে হলো।”
গল্প শেষ হলো, ক্লাস একদম চুপ।
শিক্ষক বুঝলেন, ছাত্রেরা গল্পের শিক্ষাটা ধরতে পেরেছে।
ভালো এবং মন্দ, পৃথিবীর সব কিছুর পেছনেই অনেক জটিলতা আছে যা সব সময় বোঝা যায় না।
আমাদের কখনোই শুধুমাত্র উপরের তল দেখেই যাচাই করা উচিত না। 
অন্যকে না বুঝেই বিচার করে ফেলাটা বেশ বোকামি।
যারা খাবারের বিলটা সবসময়ই নিজে দিতে চায়, তার মানে এই নয় যে তার টাকা উপচে পড়ছে, 
এর কারন সে টাকার চেয়ে বন্ধুত্বকে বড় করে দেখে।
যারা আগে ভাগেই কাজ করে ফেলে, 
এর মানে সে বোকা না, আসলে তার দায়িত্বজ্ঞান রয়েছে।
যারা ঝগড়া বা বাকবিতন্ডার পরে আগে মাফ চেয়ে নেয়, 
সেই ভুল ছিলো এমনটা নয়, বরঞ্চ সে চারপাশের মানুষকে মূল্যায়ন করে।
তোমাকে যে সাহায্য করতে চায় সে তোমার কাছে কোন কিছু আশা করে না, বরং একজন প্রকৃত বন্ধু মনে করে।
কেউ আপনাকে প্রায়ই টেক্সট করে তার মানে এটা নয় যে তার কোন কাজ নেই, 
আসলে আপনাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে।
একদিন আমরা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো, 
কিন্তু আমাদের আচরণ ও ভালোবাসাগুলো মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবে। 
কেউ না কেউ স্মরণ করবে।
নতুন বছরের মূল্যায়ন এই রকমই হোক।
শুভ হোক নতুন বছর সবার যারা আনন্দের আলো থেকে বঞ্চিত ছিলে। 

ভালবাসা আর সত্যিকারের বাস্তবতা

 


আচ্ছা, আমার যদি বিয়ে হয়ে যায় তুমি কি করবে ? ( মেয়ে )
– কি আর করব ? ভুলে যাবো।
– সত্যি ?? তুমি পারবা ? ( মন খারাপ করে )
– অবশ্যই। তবে আমার আগে তুমি নিজেই আমাকে ভুলে যাবে।
– কখনোই নাহ।
– বলছি তাহলে। শুনো ;
বিয়ের দিন কিছুক্ষণ পর পরই আমার কথা মনে হবে তবে তা খুবই অল্প সময়ের জন্য। তখন তুমি প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করবে। সবার সাথে পরিচয়, কথাবার্তা, ফটো তুলতে তুলতেই সময় চলে যাবে। বিয়ের পরের সাত-আট দিন সবার বাসায় যাওয়া আসা করতে করতেই সময় চলে যাবে। মাঝে মাঝে মনে পড়বে যখন রিক্সায় বসে ও তোমার হাত ধরবে কিংবা চুলে ফুল গেঁথে দিবে। বিয়ের পরের মাসে হানিমুনে যাবে.. কোনো সমুদ্রের তীরে তার সাথে বসে কিছু রোমান্টিক সময় পাড় করবে আর মনে মনে ভাববে আমার সাথে বিয়ে না হয়ে হয়তো ভালোই হয়েছে। এভাবেই কেটে যাবে কয়েকটা মাস। নিজের একটা ছোট্ট সংসার তৈরি হবে। হয়তো ছোট্ট সংসারে পরিবারটা আরেকটু বড় হবে।
এবার আমার কথা বলি : যখন তোমাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হবে তখন হয়তো আমি অন্য জগতে থাকবো। নিকোটিন , নেশাদ্রব্য আমাকে রীতিমতো গ্রাস করে ফেলবে। মাঝে মাঝে চোখ থেকে দু-চার ফোঁটা জল পড়বে। মোবাইলের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে সারাটা রাত কাটিয়ে দিব আর বলব, মানুষ যা চায় তা পায় না।পরের দিনগুলো রীতিমতো আরো ভয়ংকর ভাবে কাটবে। তোমার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো আমাকে কষ্টের শেষ সীমানায় নিয়ে যাবে। একটা সময় আসবে যখন পরিবার, সমাজ আমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তখন আমার আপন বন্ধু হবে অন্ধকার। হয়ত মা মাঝে মাঝে এসে বুঝাবে… এভাবেই কেটে যাবে কয়েকটা মাস কিংবা বছর। একটা সময় আসবে যখন আবার নিজেকে সবার মাঝে মেলে ধরতে হবে। তখন হয়তো ভালো একটা চাকরি পেয়ে বাবাকে মুক্তি দিবো। আর কিছুদিন পর হয়তো কোনো এক মেয়েকে বিয়ে করে ছোট্ট একটা সংসার করব যেখানে কিছু কিছু স্বপ্ন থাকবে।
তবে বিশ্বাস করো, এমন একদিন আসবে যখন আমার ও আর তোমার ও ঘুমে আচ্ছন্ন থাকবে। জাগ্রত থাকব তুমি আর আমি। মনে পড়বে সেই দিন গুলোর কথা। চোখ থেকে দু ফোঁটা জল পড়বে। উফ ঘুমাতে হবে। কাল আবার ওদের স্কুল আছে আর আমার অফিস….

একটা আইসক্রিম ও দুজনের ভালোবাসা

 

আমার একটা পিক দাও তো,যেটা তোমার কাছে সব
চেয়ে ভাল লাগে।
.
রিধির ম্যাসেজ টা সিন করে একটু না অনেক অবাক
হলাম।আমার ভাল লাগা দিয়ে ও কি করবে ,আর ও
কি ভাবে জানে ওর পিক আমার কাছে আছে?
-তোমার কি মনে হয়, তোমার পিক আমার কাছে
আছে?
-হুম,থাকবেনা কেন? দাও জলদি।তোমার পছন্দেই
প্রো পিক দেব এবার,
-হঠাৎ,
-ইচ্ছা হল,দাও।
-আচ্ছা।
.
রিধির কনফিডেন্স দেখে আমি একটু অবাক হলাম।
ওর পিক আমি রাখব কেন?
যদিও ওর প্রায় শখানেক পিক আমার কাছে আছে।
রিধি আগে ফেসবুকে পিক দিত,কিন্তু এখন আর
দেয়না।আগের সব পিক আমি সেভ করে
নিয়েছিলাম, কারণ মাঝ মাঝেই দেখতে হয়।মাঝে
মাঝে ঠিক না প্রায় প্রতিদিনই।
ওকে না দেখলে ঘুম আসেনা।কিন্তু এ পিক সেভ করে
রাখার কথাটা রিধির জানার কথা নয়।
.
-কই দাও,
.
আমার কাছে থাকা ওর সব চেয়ে সুন্দর পিকটা ওকে
পাঠিয়ে দিলাম।সেন্ড করেই মনে হল অনেক বড় ভুল
করলাম। এ পিক টা রিধি কখনো আপ্লোডই
দেয়নি,এটা
আমি চুপ করে তুলেছিলাম,ওর অজ্ঞাতেই।
.
একটু পর রিধির ম্যাসেজ
-এটা কোথায় পেয়েছ,
-চুপ করে তুলেছিলাম,সরি
-কবে?
-ক্লাস পার্টিতে
-ভাল হয়েছে।
-ধন্যবাদ।
-টি.এস.সি তে আসো কথা আছে?
-কি কথা?
-আসো আগে,
-আচ্ছা।
.
আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম।রিধি কি খুব রেগে
গেল।রাগ করা স্বাভাবিক ব্যাপার,চুপ করে কোন
মেয়ের ছবি তুললে সে মেয়ে তো রাগবেই।বাট আমি
অন্য ছেলেদের মত না, আমি তো ওকে ভালবাসি।
ভালবাসি বোঝানোর জন্য ও ফ্রেন্ড হওয়া সত্তেও
কখনো তুই করে বলিনি।
এ নিয়ে আমাদের বন্ধু মহলে চলে নানান কল্পনা।
সেসবের আমি ধার ধারিনা।আমি তো ওকে সবসময়
বোঝাই যে আমি ওকে ভালোবাসি।মুখে বলিনা
কারণ যদি ও রাগ করে বন্ধুত্তটা ভেঙে দেয়,তখন তো
আর কথাও বলতে পারব না।
.
তবে আজ কি হবে কে জানে?
ও হয়ত খুব রাগ করেছে।অপমান করতে পারে, চড়
থাপ্পড় ও মারতে পারে।মারুক, মারলে আর কি করার
আছে।
.
টিএসসি তে পৌছে দেখি রিধি আমার জন্য আগে
থেকেই অপেক্ষা করছে।দূর থেকে দেখে ওর মুডের
অবস্থা বোঝা যাচ্ছেনা। সেটা দেখতে হলে ওর
কাছে যেতে হবে। কিন্তু যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা
সেটাই
বুঝতে পারছিনা। এসব ভাবতে ভাবতেই দেখি রিধি
ওর হাত ইশারা করে আমাকে ডাকছে।আর কিছুই
করার নেই, আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম
রিধির
দিকে, কি আছে কপালে দেখা যাবে?
.
রিধির সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ও বলল,
-কেমন আছ?
.
আমি ওর কথা শুনে অবাক হলাম।এত সুন্দর করে কেন
কথা বলছে মেয়েটা।আমি স্বপ্ন দেখছি না তো।
এটা কি ঝড়ের পূর্বাভাষ?
.
-কি হল?কেমন আছ?
-হুম,ভাল।তুমি?
-ভাল,
-তুমি তো ভাল ছবি তোল,
-উম,
-আমার কত গুলা পিক আছে তোমার কাছে?
-ঐ একটাই ছিল,
-সত্যি,
-হুম,
-মোবাইল দেখি,
-নাই ভুলে আনি নাই।
(মোবাইলে অনেক পিক আছে আর বাকী গুলা
পিসিতে।মোবাইল ওর হাতে গেলে সব শেষ)
.
-ওই তো মোবাইল, পকেটে ভেসে আছে।স্পষ্ট দেখা
যাচ্ছে,
-ওহ,আনছি তাহলে।
.
আমি মোবাইল টা বের করে রিধির দিকে বাড়িয়ে
দিলাম।টেনশন নাই, পাসওয়ার্ড দেয়া আছে। রিধি
পাসওয়ার্ড দেয়া দেখে বলল,
-পাসওয়ার্ড বলবানা?
-মনে নাই,
-আমার কিন্তু মনে আছে?
.
আমি একটু হেসে বললাম ,
-তোমার মনে আছে?
-হুম,
-মাইন্ড হ্যাক করে ফেলছ নাকি?
-হুম,তোমার কি মনে হয়?
-মনে তো হয়। বলো তো দেখি পাসওয়ার্ড টা কি?
-“রিধি”
.
আমি শুনে একটু অবাক হলাম ও কিভাবে জানল।
অবশ্য জানা ব্যাপার না,ছেলে রা সচারচর যাকে
ভালবাসে তার নামই মোবাইল অথবা ফেসবুকের
পাসওয়ার্ড হিসেবে ইউজ করে।ও কি বুঝে গেছে
আমি ওকে ভালবাসি।
-তুমি কিভাবে জানলা?
-জানি,
.
পাসওয়ার্ড খুলে রিধি বলল,
-ওয়ালপেপার এ ও আমার ছবি,ইমপ্রেসিভ।
-হুম,,
.
টেনশন ওয়ালপেপার নিয়ে নয়,টেনশন গ্যালারি
নিয়ে।ওখানে এত গুলা রিধির পিকচার আছে যা হয়ত
রিধির নিজের কাছেও নাই।
গ্যালারি ওপেন করে রিধি অবাক হয়ে ওর পিক
গুলো দেখতে লাগল।সব দেখা শেষে বলল,
-এত্ত গুলা পিক!
-হুম,
-শুধু হুম?আর কিছু বলবেনা?
-হুম
-বল?
-দেখ রিধি পিক গুলার জন্য আমি সরি।চুপ করে
তোলা আমার উচিত হয়নি,
-এটুকুই,আর কিছুই বলবানা?
– হুম,
-তো বল,
-আমি তোমাকে খুব……….
-ভালবাস?
-হুম,
-কবে থেকে,
-ভার্সিটির প্রথম দিন, যেদিন তুমি আমার পাশে
এসে বসলে।সেদিন এক ফোটা ক্লাস রুমের বোর্ড এর
দিকে তাকাইনি।শুধু তোমাকেই দেখেছি। তোমার
নীল ওড়না টাও একবার ছুঁয়ে দিয়েছিলাম।
-আমি কি রং পড়ে এসেছিলাম তোমার মনে আছে,
-হুম,থাকবেনা কেন?
-তিন বছর আগে কথা ওগুলো
-আমার তো মনে হয় ওটা গতকাল,এত সুন্দর দিন টাকে
পুরানা করতে চাইনা।
.
রিধি কিছু বলল না,শুধু হাসল।আমিও হাসলাম
তারপর আমার পকেট থেকে একটা কানের ঝুমকা বের
করে ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম,
-এটা তোমার,
.
রিধি আমার হাত থেকে ঝুমকা টা নিয়ে বলল,
-এটা ভার্সিটি র প্রথম দিন হারিয়েছিল,
-হুম,
-তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি পেয়েছ
কিনা?
-না বলেছিলাম,
-কেন?
-তখন তোমার কিছুই ছিলনা আমার কাছে,
.
আমার কথা শুনে রিধি আবার হাসল।হাসি থামিয়ে
বলল,
-এখন কি কি আছে তোমার কাছে?
-বেশি কিছু নেই,তবে তুমি আছ।
-যাও আইস্ক্রিম নিয়াসো,
-এই শীতে,
-হুম।
-জর আসবে,
-গার্লফ্রেন্ডের আব্দার পূরণ করা প্রতিটি
বয়ফ্রেন্ডের দায়িত্ত,যাও।
-জি আচ্ছা, আমার গার্লফ্রেন্ড।
.
রিধি আবার খিল খিল করে হাসল।কত সুন্দর লাগে
ওকে হাসলে। আমি ব্রেঞ্চি থেকে উঠে পা
বাড়িয়েছি
তখনি রিধি ডাকল,
-শোন,
-হুম
-একটা আইস্ক্রিম আনবা,
-কেন?
-দুজনে একটাতেই খাব তাহলে ভালবাসা বাড়বে,
আর জরও কম হবে।
-গুড আইডিয়া।
.
এই ঠান্ডায় আইসক্রীম খেলে জর নিশ্চিত। তবুও
খাব,একসাথে আইসক্রীম খেলে ভালবাসাও বাড়বে।
Join Our Newsletter