ছেলেটা তার শার্টের হাতা গুটাতে গুটাতে বললো,
- সব ছাড়তে পারবা আমার জন্য? বাবা, মা, ফ্যামিলি!
টলমলে চোখে মেয়েটি উত্তর দিল- সব ছাড়তে পারবো! সঅঅঅব...! আর কথ বের হচ্ছেনা, চোখ ভেসে যাচ্ছে।
ছেলেটি মেয়েটির চোখের জল মুছে দিয়ে মুচকি হেসেই বললো, কাউকেই ছাড়তে হবে না পাগলি! কিচ্ছু ছাড়তে হবেনা,বাসায় যাও। তোমার পরিবারের সাথে আমার ঠিক এক বছর পর কথা হবে। মেয়েটি চলে যাচ্ছিলো, ছেলেটি পেছন থেকে মেয়েটির ওড়না টেনে ধরলো। চোখে ব্যাথার জল এনে বললো, শুনো এ ১ বছরে তোমার সাথে অনেক কিছুই হবে..! তোমাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে! পছন্দ করবে...! বিয়ের আসরে নিয়ে যাওয়া হবে, কাজী আসবে তোমাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য। আর যাই বলোনা কেনো, 'কবুল' শব্দটা কখনোই বলবা নাহ! কেমন, কক্ষনোই না।
মেয়েটি এবার কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটির বাহু টেনে ধরলো
- এক্ষুনি চলো আমার সাথে (অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে)।
- ছেলেটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় যাবো?
আগে কাজী অফিসে তারপর মেডিকেলে।
কাজী অফিসে গিয়ে তোমাকে 'কবুল' বলবো, তারপর মেডিকেলে গিয়ে নিজের কন্ঠনালী কেটে ফেলবো যাতে কাউকে কখনোই
'কবুল' শব্দটা বলতে না হয়। ছেলেটা তখন বাহুর সমস্ত শক্তি দিয়ে মেয়েটিকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো। পশ্চিম আকাশে বেলাশেষের লাল সূর্যটা তখন মুচকি হাসছিলো।

No comments:
Write comments